প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

 প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ইতিহাসঃ

“সন্তান আপনাদের, তাকে সুশিক্ষিত নাগরিক রুপে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের এই যুগে আপনাদের প্রাণপ্রিয় আদরের কোমলমতি সন্তানকে নিয়ে আপনার স্বপ্ন। আপনার সন্তান এক দিন সৎ, যোগ্য, আদর্শবান সুসন্তান হিসাবে বড় হবে, হবে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিষ্টার কিংবা শিক্ষক। সর্বোপরি সে একজন পরিপূর্ণ মানুষ ও যোগ্য নাগরিক রুপে নিজেকে গড়ে তুলবে। এ প্রত্যাশা আমার, আপনার, সবার। আজ যারা শিশু আগামী দিনে তারাই হবে সারা বিশ্বের চালিকা শক্তি। তাই শিশুদের দিকেই তাকিয়ে আছে আজকের বর্তমান বিশ্ব। কারণ “আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত”।  শিক্ষিত জাতি একটি দেশের বড় সম্পদ।

কিন্তু দীর্ঘদিন  এদেশের জনসংখ্যার একটি বৃহত্তম  তার সুপ্ত ক্ষমতার পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করার এবং জাতীয় উন্নয়নে অধিক কার্যকর অবদান রাখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। তবে সময়ের বিবর্তনে সমাজ জীবনে এসেছে বিরাট পরিবর্তন। বর্তমান  সমাজ ধর্মীয় গোঁড়ামীর শৃংখল ভেঙ্গে  সমাজকে এগিয়ে নিতে এবং উচ্চ শিক্ষার পথকে সুগম করার জন্য কিছু সংখ্যক শিক্ষা সচেতন ব্যক্তির  উৎসাহ ও নিরলস প্রচেষ্টায় স্থানীয় এলাকাবাসীর আশা আকাঙ্খার প্রেক্ষিতে ১৯৭০ সালে মিঠাপুকুর উপজেলাধীন মির্জাপুর ইউনিয়নের শিব দেউলপাড়া গ্রামে মির্জাপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়টি  প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠানের রয়েছে ১টি ভবন ৪টি টিনশেড ও  ৮ টি কক্ষ   এবং ১  একরের অধিক ভূমি, স্থায়ী ও চলতি তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ, বই, চেয়ার, ব্যাঞ্চ, টেবিল, ফ্যান ও কম্পিউটার প্রদান  করে প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতিকে তরান্বিত করা হয়।

বিগত বছরে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক এবং সুদক্ষ ম্যানেজিং কমিটি সদস্যবৃন্দের তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠানটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বহুবার শ্রেষ্ট প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা অর্জন করেছে। আশা করা যাচ্ছে সকলের সহযোগিতায়  কলেজটি অত্র এলাকার উচ্চ শিক্ষার প্রাণ কেন্দ্রে পরিনত হবে।